আড়তের ৩২ টাকার শসা পাইকারিতে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর ওই শসা ‍খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। একইভাবে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ, বেগুন ও করলা। ১৫ টাকার পটল খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এভাবেই আড়তের ৩০ টাকার সবজি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে। এ পন্থা অবলম্বন করে বিপুল পরিমাণ অনৈতিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।

সোমবার (২৯ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজি আড়তে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে এমন প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মা‌লিক স‌মি‌তি সভাপ‌তি মো. হেলাল উদ্দিন, অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল প্রমুখ।

আরও পড়ুন: হাত বদলে সবজির দাম বাড়ে দ্বিগুণ

মধ্যরাতে বিশেষ অভিযানের বিষয়ে উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, সোমবার রাত ১১টা থেকে ২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে সবজির আড়তে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এসময় দেখা যায়, আড়তে শসা ৩২ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪০/৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন আড়তে ৩৬ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪৫/৫০ টাকা, কাঁচামরিচ আড়তে ৩০ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪০ টাকা, করলা আড়তে ৩৩ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪৫ টাকা, পটল আড়তে ১৫ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।

অর্থাৎ কৃষকরা লাভবান না হয়ে মধ্যস্বত্তভোগীরা লাভবান হচ্ছে বলে মনে করছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা যায়, আড়ত থেকে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ বা ৩৫ টাকার সবজি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এখানে প্রান্তিক কৃষক যেমন উৎপাদন খরচ পান না, অপরদিকে ভোক্তারা উচ্চমূল্যে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। মাঝে দুই/তিন হাত বদলের ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অনৈতিক মুনাফা করছে। আড়ত ও খুচরা বাজারের সবজির মূল্যের বিশাল এ ব্যবধান পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে অধিদপ্তর।

এসময় বাজার ব্যবস্থাপনা এবং বিপণনে নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যবসায়ীসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এসআই/এসএসএইচ