চলতি অর্থ বছরের (২০২২-২৩) আগস্ট মাসে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে ভ্যাট এসেছে ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। গত অর্থ বছরের আগস্টের তুলনায় এবার ২৫ শতাংশ বেশি রাজস্ব এসেছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের আগস্টে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ইএফডি লটারি ড্র উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মইনুল বলেন, ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে ইনভয়েসিং ও রাজস্ব আদায়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগস্ট পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার ৭৮৯টি মেশিন বসানো হয়েছে। আগস্টে মোট ৩০ লাখ ইনভয়েসিং হয়েছে, যার বিপরীতে ৫৮৭ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে। যেখান থেকে ভ্যাট এসেছে ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, আগস্টে ইনভয়েসিং ও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি দুটোই বেড়েছে। গত বছরের আগস্টের তুলনায় ইনভয়েসিং ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই মাসে মোট ইনভয়েসিং হয় ১৭ লাখ ১০ হাজার, যেখানে ২২০ কোটি টাকা বিক্রির বিপরীতে ভ্যাট আসে ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। আমরা মনে করি এই খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। যখন ৩ লাখ মেশিন বসানো হবে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে আরও সফলতা আসবে। এজন্য সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (শুল্ক নিরীক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) আব্দুল মান্নান সিকদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. সহিদুল ইসলামসহ ( ভ্যাট নিরীক্ষা) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আজ ২০তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইএফডি চালানের লটারিতে প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি)। এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আগস্ট মাসের ১ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৯০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর। 

আরএম/এমএইচএস