চিনির বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সাইফুজ্জামান বলেছেন, এখন সমস্যা যেটা হয়েছে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ‘র সুগার’ আছে। কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে রিফাইন করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনির চাহিদা আছে। এটি যদি প্রতিদিন আমরা উৎপাদন করতে পারি রিফাইন করে, তাহলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

রোববার (২৩ অক্টোবর) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ এইচ এম সাইফুজ্জামান বলেন, বছরে আমাদের মোট চিনির চাহিদা ১৮ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা ‘র সুগার’ আমাদের আছে। আমরা সেটা রিফাইন করে বাজারে ছাড়লে ঘাটতি থাকার কথা নয়। আমাদের চিনি শিল্প কর্পোরেশন ২৪ হাজার মেট্রিক টন দেশীয় চিনি উৎপাদন করছে। তাই আমরা চাহিদার সিংহভাগই আমদানি করি।

আরও পড়ুন : চি‌নির ঘাটতি নেই, পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে

তিনি আরও বলেন, অনেক ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে চিনি থাকার পরও তারা বলছে চিনি নেই। অথচ অনেকের গোডাউনে থরে থরে চিনি সাজানো আছে। আমারা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব। কোথায় সমস্যা, কারা সমস্যা সৃষ্টি করছে— এ বিষয়ে আমরা একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছি, আগামীকাল (সোমবার) এটা আমরা সরকারের কাছে উপস্থাপন করব। আজ কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা বসেছি, তারা চিনির চাহিদা আমাদের দেবে। আমরা রিফাইন চিনি ট্রাকে করে তাদের কাছে পৌঁছাব। এরপরও যদি কেউ কারসাজি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মনজুর মোহম্মাদ শাহরিয়ার, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নানসহ কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

এএসএস/এসএসএইচ