কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক: সংগৃহীত ছবি

কারসাজি করে মিলাররা চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। 

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চালের অতটা ঘাটতি আমাদের নেই। কিন্তু এই সুযোগে মিলাররা বিভিন্ন কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমরা যদি বিদেশ থেকে এনে চালের বাজার বাড়াতে পারি আমার মনে হয় না, খুব অসুবিধা হবে।’

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে ভূমি উন্নয়ন ও পূর্ত কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ভরা মৌসুমে আমনের দাম একটু বেশি। সরকার চেষ্টা করছে কোনোভাবেই যেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নিম্নআয়ের মানুষ, কম আয়ের মানুষের কষ্ট না হয়। সেটি বিবেচনায় নিয়ে সরকার ওএমএস চালু করেছে, অব্যাহতভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছে।

তিনি বলেন, চাল উৎপাদনে ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আমরা ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করব। সরকারি গুদামেও চাল কমে গেছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টনের মতো খাদ্যশস্য ছিল সরকারি গুদামে। এবার তা কমে ৭ লাখ টনে নেমে এসেছে।

গত কয়েক মাস ধরেই চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরু থেকে শুরু করে মাঝারি ও মোটা চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। বাজার পরিস্থিতি এমন হয়েছে মিল পর্যায়েই প্রতি বস্তা চাল (৫০ কেজি) ৩ মাসের ব্যবধানে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ।

মিল পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বস্তা মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার ৩শ টাকা। সেক্ষেত্রে ৩ মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বাড়ানো হয়েছে ৭শ টাকা। পাশাপাশি মাঝারি মানের চালের মধ্যে বিআর-২৮ প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬শ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার টাকা। আর মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ২শ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার টাকা।

বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকায়। যা ৩ মাস আগে ছিল ৫৫-৫৭ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায়, ৩ মাস আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়, যা ৩ মাস আগে ছিল ৪৫ টাকা।

এসএইচআর/জেডএস