নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের অস্বস্তি নিয়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে

চালের বাজারকে যেন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তবে সবজির বাজারে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে। মাছ ও মাংসের বাজারও স্থিতিশীল।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউন এলাকার কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ঘুরে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের অস্বস্তি নিয়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে। কিছুদিন পরপর এসব দ্রব্যের দাম বাড়তির দিকে যাওয়ায় বেশ কষ্টেই সারতে হচ্ছে কেনাকাটার কাজ।

উত্তরা ৬নং সেক্টরের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের তো চাল, ডাল মজুদ করার অবস্থা নাই। বাজারের দামের চিত্র দুই-এক দিন পরপর পরিবর্তন হয়। যেমন, আজ বাড়ছে চালের দাম, কাল বাড়ছে তেলের দাম। তারপরের দিন বাড়ছে অন্য কোনো পণ্যের দাম।

এ ক্রেতা জানান, বেঁচে থাকতে হলে খেতে হবে। বিক্রেতারা এটা ভালোই বোঝেন। কিন্তু কিনতে গিয়ে যে আমাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে তা কেউ দেখছেন না।

ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে। আজ রোববার বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। এছাড়া কেজিপ্রতি মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, চিনিগুড়া ৮৮ থেকে ৯৫ টাকা, কাটারি ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব চালেও কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।

তবে সবজির বাজারে অনেকটাই স্বস্তি মিলছে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

বিক্রেতা মো. ওবায়দুর জানান, গত সপ্তাহে যে দামে সবজি বিক্রি হয়েছে আজও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

দেখা যায়, মানভেদে দেশি আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, মুগডাল ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। প্রতি পিচ বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, প্রতি আঁটি পালং শাক ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকার ও মানভেদে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও সোনালি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, খাসির মাংস ৭৪০ থেকে ৭৬০ টাকা, গরুর মাংস ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা (চাষ) ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলের বাজার প্রায় আগের মতোই আছে।

একে/টিএম