সংগ্রামী বেবীর পাশে এবার ‘স্বপ্ন’
তেজগাঁও অফিসে ডেকে বেবীকে কাজের সুযোগ করে দেয় স্বপ্ন
মুন্সিগঞ্জের বেবী আক্তার। বাবা-মা, স্বামী-সংসার নিয়ে ভালোই ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই সংসার ভেঙে যায় তার। এরপর একমাত্র শিশুপুত্র দীন ইসলামকে নিয়ে শুরু হয় কঠোর সংগ্রাম।
দেড় বছর আগে সংসারের চাকা চালাতে ধরলেন রিকশার হ্যান্ডেল, মারলেন প্যাডেল। রিকশার চাকা ঘুরল রাজধানীর মিরপুর ১১, ১২ নাম্বার এলাকায়। সাহসী এ উদ্যোগের কারণে তিনি চোখে পড়লেন সেখানের মানুষের। অল্প সময়েই বেবী পেলেন বিশেষ পরিচিতি।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এই লড়াকু নারীর গল্প উঠে আসে গণমাধ্যমে। বেবীর ভিডিওচিত্র চোখে পড়ে ‘স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসিরের। এরপর তেজগাঁও অফিসে ডেকে বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে তাকে কাজের সুযোগ করে দেয় স্বপ্ন।
এ সময় দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইনশপ স্বপ্নর বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভির খান, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শাহ মো. রিজভী রনী, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর ম্যানেজার কামরুজ্জামান মিলু উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকেই শুরু হবে বেবীর নতুন স্বপ্নযাত্রা।
বিজ্ঞাপন
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেবীর মতো সংগ্রামী নারীর পাশে দাঁড়াতে পেরে স্বপ্ন পরিবার গর্বিত। বেবীকে স্বপ্নতে যুক্ত করা নিছক একটি চাকরি দেওয়া নয়। এটি হচ্ছে স্বপ্নর পক্ষ থেকে এক সংগ্রামী নারীকে সম্মান ও স্বীকৃতি। এসব ছোট ছোট স্বীকৃতি অনেক নারীকে সংগ্রামের সাহস দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মিরপুর ১১ নাম্বার এলাকার স্বপ্ন আউটলেটে হোম ডেলিভারির কাজে যোগ দিয়ে বেবী বেশ খুশি। নিজের রিকশা দিয়েই এবার আশপাশের বাড়িতে হোম ডেলিভারি করবেন তিনি।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বেবী আক্তার বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত। রিকশা জমার টাকা দেওয়ার পর আমার হাতে ১৫০-২০০ টাকার বেশি থাকত না। স্বপ্নতে যোগ দিয়ে আমার উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা হলো। স্বপ্ন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের দেওয়া এই সম্মানের কারণে আমার ক্লাস ফাইভে পড়া ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাটা সহজ হয়ে গেল।
এইচকে