মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম বিকাশ-এর মাধ্যমে পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন দেওয়া সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন দেওয়ার অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনা নিয়ে বিকাশের ‘মিট ইন্ডাস্ট্রি লিডার্স : ফিউচার অব পে-রোল ডিজিটাইজেশন ইন আরএমজি বিজনেস’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ তথ্য জানান। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানায় বিকাশ।

সভায় বিকাশের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া পোশাক কারখানাগুলোর দক্ষতা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে ও ভবিষ্যতে কী কী সেবা চালু হওয়া উচিত এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন দেশের পোশাক খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও উদ্যোক্তারা।

করোনার সময়ে সরকারি প্রণোদনার বেতন ভাতা সহজেই শ্রমিকের কাছে পৌঁছে দিতে বিকাশের ভূমিকার প্রশংসা করেন পোশাক ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, বিকাশের মাধ্যমে বেতন বিতরণ সহজ হওয়ার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার ও নারী শ্রমিকদের ক্ষমতায়নেও উন্নতি হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে শ্রমিকের হাতে সময়মত বেতন পৌঁছে যাওয়ায় মালিক ও শ্রমিক সম্পর্কও আগের থেকে অনেক জোরদার হয়েছে।

মত বিনিময় করেন জায়ান্ট গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ফারুক হাসান, অনন্ত গ্রুপের এমডি ইনামুল হক খান, এ জে গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ডিজাইনটেক্স গ্রুপের এমডি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, টিম গ্রুপের এমডি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, সাদমা গ্রুপের এমডি নাসির উদ্দীন, ট্রাউজার লাইন লিমিটেডের এমডি রানা লায়লা হাফিজ, পশমি সোয়েটারস লিমিটেডের এমডি মো. মশিউল আজম সজল, নিউ এশিয়ার ডিরেক্টর আমির সেলিম, বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর, চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মহামারির মধ্যে দ্রুত শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে সরকারি প্রণোদনায় বেতন ও ভাতা বিতরণের দায়িত্ব পালন করে বিকাশ। সভায় ভবিষ্যতে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ডিজিটাল ঋণ, ইন্স্যুরেন্স সেবাসহ আরও সৃজনশীল সেবা চালুর আহ্বান জানান উদ্যোক্তারা।

একে/ওএফ