ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা। ‘লকডাউনের’ দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। 

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে সংগঠনটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

এর আগের ৩ এপ্রিল ‘লকডাউনে’ পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি করতে দিনে পাঁচ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানায় ব্যবসায়ীরা।

সেদিন সংগঠনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, গত বছরের লকডাউনের ক্ষতি এখনও পোষাতে পারিনি। আমরা ব্যবসায়ীরা আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঋণ নিয়ে পহেলা বৈশাখ, রোজা ও ঈদ উপলক্ষে জুতা, কাপড় ও পোশাকসহ নানা পণ্য কিনেছি। এখন এগুলো বিক্রি করতে না পারলে মাঠে মারা যাব।

তাই সরকারের কাছে আমরা সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইকারি মার্কেটগুলো খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি না হলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সাধারণ মানুষ পণ্য পাবে না বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন এক চিঠিতে সরকারকে বলেছেন, গতবারের মতো এবারও যদি মার্কেট বন্ধ থাকে তাহলে বিলাসী পণ্য বিশেষ করে ঈদের জামা কাপড়, কসমেটিকস ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাবেন। আপাতত এসব পণ্যের পাইকারি মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি চাই আমরা। কারণ এখনও এসব পণ্যের খুচরা বিক্রি শুরু হয়নি, পাইকারি পর্যায়ের বিক্রি চলছে। তাই আমরা দৈনিক মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ব্যবসা করার জন্য সুযোগ চাই।

চিঠিতে তিনি আরও বলেছেন, দেশে বিশেষ করে রাজধানী ও রাজধানীর আশপাশে মাত্র কয়েকটি এলাকায় এসব বিলাসী পণ্যের পাইকারি মার্কেট রয়েছে। তাই সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দফায় দফায় ১০ জন করে ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে চাই আমরা।

এমআই/এসএসএইচ