ছবি সংগৃহীত

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাচ্ছেন আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে হওয়ায় দেশের সব ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ কারণে ওইদিন আয়কর রিটার্ন গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২০২০-২১ করবর্ষের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ওইদিন ব্যাংক হলিডে হওয়ায় সব ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় আয়কর প্রদান সংক্রান্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার জন্য সম্মানিত করদাতাদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।

মহামারি করোনার কারণে এবার বিশেষ বিবেচনায় এক মাস সময় বাড়ানো হয়। বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৩০ নভেম্বর এনবিআর তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এক মাস সময় বাড়ায়।

সেসময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছিলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এনবিআরের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমরা সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যক্তিপর্যায়ের করদাতাদের সুবিধার্থে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হলো।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবন/ ছবি সংগৃহীত

যদিও একদিন আগে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, মহামারি করোনাভাইরাস এসেছে প্রায় এক বছর হতে চললো। এ সময় আমাদের সব কর্মকাণ্ডই চলেছে। করদাতাদেরও সব সেবা দেওয়া হয়েছে। তাই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আর বাড়ানো হবে না।

বর্তমানে ৫২ লাখ ৭২ হাজার কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি রিটার্ন জমা দিয়েছেন বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

প্রতি বছর গড়ে ২০-২২ লাখ রিটার্ন জমা পড়ে। নির্ধারিত সময়ে কোনো টিআইএনধারী যদি রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তাহলে সময় বাড়াতে পারবেন। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের কাছে দুই থেকে চার মাস সময় বাড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ সুদ গুনতে হবে।

আরএম/এমএআর/এফআর