মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) অনলাইন রিটার্ন জমায় নবমবারের মতো শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে গত আগস্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত টানা নবমবার প্রথম স্থান ধরে রাখল কুমিল্লা কাস্টমস

চলতি বছরে মার্চে ওই অফিসের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন জমা হয়েছে ৯৬.০৮ শতাংশ। এপ্রিলে কুমিল্লা কাস্টমসের অধীনে মোট ৯ হাজার ৯৮৯ জন ব্যবসায়ী করদাতা অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করেন। যেখানে বর্তমানে এনবিআরের মোট অনলাইন রিটার্ন জমার হার ৪২.৪৮ শতাংশ।

সোমবার (১৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, নানা বৈরী পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে হয় আমাদের। অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন জমাদানের সময় সার্ভারে ক্রটি, বিদ্যুৎ ভোগান্তিসহ নানা জটিলতা রয়েছে। ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন অফিসে এসে ম্যানুয়ালি রিটার্ন পেপার জমাদান করতে পারছিল না। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বসে থাকেনি এ কমিশনারেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কুমিল্লা ভ্যাট অন্যান্য মাসের মতো এপ্রিল মাসেও অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন জমা করেছে। লকডাউনের মধ্যেও স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দলবদ্ধ প্রচেষ্টা ও প্রতিযোগিতা এ অভূতপূর্ব সাফল্যের মূল নিয়ামক এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কর্মকর্তাদের পরিশ্রম ও সাফল্যের পিপাসা কুমিল্লা কমিশনারেটকে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও রিটার্ন দাখিলে উপর্যুপরি সাফল্য এনে দিয়েছে।সক্ষম কর্মকর্তাদের বাছাই করে জটিলতর কাজে নিয়োগ, মনিটরিং উদ্বুদ্ধকরণ কাজের গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুলাইয়ে কুমিল্লা কাস্টমসের অধীনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের হার ছিল মাত্র ৫১ শতাংশ। পরবর্তীতে কমিশনারেটের ছয়টি জেলায় নানা তদারকির পর থেকে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের হার বৃদ্ধি পায়।

আরএম/এসকেডি