বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এবারের বাজেট সার্বিকভাবে ব্যবসাবান্ধব। তবে পোশাক খাতের জন্য নতুন করে কিছু রাখা হয়নি।

শনিবার (৫ মে) বাজেট পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা পোস্টকে তিনি এসব কথা বলেন। ফারুক হাসান বলেন, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীদের জন্য করপোরেট কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, এগ্রোবেইজ ব্যবসার জন্য ১০ বছর কর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজেট ব্যবসাবান্ধব। কিন্তু করোনা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে দেশের পোশাক খাত। এই খাতের জন্য কোনো প্রণোদনা রাখা হয়নি। আমরা যা চেয়েছিলাম তার কিছুই রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, চলমান বাজেটের মতই প্রস্তাবিত বাজেটেও রফতানির উপর ১ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। করপোরেট কর ১০ ও ১২ শতাংশই রাখা হয়েছে।

বিজিএমইএ’র সভাপতি আরও বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-কটন খাতের বিনিয়োগ ও রফতানিকে উৎসাহিত করতে বিশেষ করে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রফতানির উপর ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা চেয়েছি। রফতানির বাজার ধরে রাখতে প্রণোদনার হার চার শতাংশের পরিবর্তে পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তার কোনো প্রতিফলন দেখিনি।

এদিকে মূল বাজেটে নিজেদের দাবিগুলো প্রাধান্য দিতে শনিবার (৫ জুন) দুপুরে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঢেকেছে বিজিএমইএ। সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরা হবে।

‍বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুক্রবার (৪ জুন) বাজেট উত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করহার ধীরে ধীরে কমালেই কর সংগ্রহ বাড়বে। আর বাজেট পুরোটাই ব্যবসাবান্ধব। মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়। চাহিদা পূরণে ব্যবসায়ীদেরও পরিবর্তন আসে। সারাবিশ্ব কী করছে, সেটাও দেখতে হবে। উন্নত বিশ্ব যদি পিছিয়ে পড়ে, তাহলে আমরা এগোতে পারব না।

এমআই/এমএইচএস