জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস ও রিলায়েন্স সলিউশান্স লিমিটেড নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ জুন) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন। 

জামালপুর জেলা সদরের দিগপাইত ও তিতপল্লা ইউনিয়নে ৪৩৬ একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল। বেজা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

বেজা জানায়, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে চার একর জমিতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এসব কারখানায় কসমেটিক্স, পোল্ট্রি, ফিশ-ফিড, প্রো-বায়োটিক ফিশ ফিড উৎপাদন হবে। 

বায়োলিপ অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স সলিউশান্স লিমিটেড জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট দুই একর জমিতে প্রায় ২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। প্রতিষ্ঠানটি এক একর জমিতে ফ্রিজ-ড্রাইড অ্যালোভেরা পাউডার ও পটেটো স্টার্চ পাউডার উৎপন্ন করবে। অপর এক একর জমিতে প্রস্তুত করবে মেডিকেল ও সার্জিক্যাল আইটেম।

বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও নতুন কারখানার নির্মাণ কাজের সূচনা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর। সারাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের অংশ হিসেবে জামালপুরের এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে খাদ্য ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী দেশের মূলধারার অর্থনীতির চাকার সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন উদাহরণ তৈরি হবে।  

বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল হক বলেন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটি যথা শিগগিরই উৎপাদনে যাবে। উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ বিদেশে রফতানি হবে।

রিলায়েন্স সলিউশান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক কামাল বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র পণ্য উৎপাদন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেই নয় বরং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে বিশ্বাসী। এক্ষেত্রে সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য বেজাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ লাইন ও ৩৩/১১ কেভিএ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ভূমি উন্নয়ন, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ, সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ একরের একটি উন্মুক্ত জলাধারও নির্মাণ করা হবে। অনুষ্ঠানে বেজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/আরএইচ