বিদেশি পণ্যে নেই আমদানিকারকের স্টিকার। মাংস, খেজুর, ফল জাতীয় খাদ্যের মোড়কের নিয়ম মানা হয়নি যথাবিধি। কাঁচা মাছ, মাংসের সেলসম্যানদের নেই স্বাস্থ্য সনদ। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই করছে ব্যবসা।  

সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ল্যাভেন্ডার সুপারশপে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটিতে এমন সব অনিয়ম দে‌খেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. সজীব। এ অপরা‌ধে প্র‌তিষ্ঠান‌টিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএফএসএ জানায়, অভিযানকালে অনেক পণ্যে আমদানিকারকের কোনো স্টিকার পাওয়া যায়নি এবং কিছু স্টিকার পাওয়া যায় যাতে অসম্পূর্ণ ও অস্পষ্ট ঠিকানা লেখা। মাংস, খেজুর, ফল জাতীয় বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্য মোড়কে যথাবিধি নিয়ম মানা হয়নি। কাঁচা মাছ, মাংস হ্যান্ডেলারদের কোনো স্বাস্থ্য সনদ দেখাতে পারেনি। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সও নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপরাধে ল্যাভেন্ডার সুপারশপ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

ল্যাভেন্ডার সুপারশপ কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা সংবলিত পোস্টার দেওয়া হয়। ল্যাভেন্ডার সুপারশপ কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবে বলে অঙ্গীকার করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩-তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাইমিনা শারমিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম মৃধা, মনিটরিং অফিসার মো. আসলাম উদ্দিন এবং ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যদের একটি টিম।

এসআই/জেডএস