জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে দেশের রেস্টুরেন্টগুলোতে ‘নির্দিষ্ট ধূমপান এলাকা’ নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এজন্য আইন সংশোধনের দাবি করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম সরকার রবিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার মো. আতাউর রহমান মাসুদ, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, রেস্টুরেন্টকে পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত করলে নারী-শিশুসহ সবাই স্বস্তিবোধ করবেন। এতে গ্রাহক সমাগম বেশি হবে। ধুমপানমুক্ত হলে বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া মালিক, ম্যানেজার বা কর্মচারীরাও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন। 

ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের আবদুস সালাম মিয়া বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৪ (১) অনুসারে, কোনো ব্যক্তি কোনো পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করতে পারবেন না। তবে চার দেয়ালে আবদ্ধ নয় এমন রেস্টুরেন্টসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কফিশপ ইত্যাদি রয়েছে, যেগুলোর চারপাশ দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ নয়। রেস্তোঁরাসমূহে তামাক ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রেস্টুরেন্টগুলোকে পুরোপুরি ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কাজ করে যাবে। এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে যে কোনো প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এসআই/আরএইচ