সাইবার স্পেসে কমপ্লায়েন্স নিয়ে এএমএল-সিএফটি কর্মকর্তাদের জন্য সেমিনার
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন (এএমএল-সিএফটি) প্রতিরোধে নিজস্ব কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দু’দিনব্যাপী সেমিনার আয়োজন করেছে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
‘স্ট্রেন্থেনিং এএমএল-সিএফটি ফ্রেমওয়ার্ক ইন সাইবার স্পেস’ থিমে আয়োজিত এবারের অর্ধবার্ষিক সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল সাইবার স্পেসে কমপ্লায়েন্স জোরদার করার মাধ্যমে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ করা।
বিজ্ঞাপন
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী সাইবার স্পেসে আর্থিক অপরাধ মোকাবিলা, সম্ভাব্য সামাজিক-রাজনৈতিক ঝুঁকি, সমন্বিত সেবা মডেল, উন্নত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং পরিবর্তনশীল নিয়ন্ত্রক রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এই সেমিনারে। পাশাপাশি, এখনকার কমপ্লায়েন্স চ্যালেঞ্জগুলো কী কী, নতুন পণ্য ও সেবার ব্যবহার এবং এবছরের কাজের মূল্যায়ন নিয়েও আলোকপাত করা হয়। আগামী বছরগুলোতেও গ্রাহক ও অংশীজনদের জন্য বিকাশের সব কার্যক্রমে কমপ্লায়েন্স ও নিয়মনীতি মেনে চলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
ঢাকায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সেমিনারটিতে বিকাশের এএমএল-সিএফটি বিভাগের ঢাকাসহ সারা দেশের আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিকাশের কমপ্লায়েন্স টিম নিয়োজিত আছে। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ের এজেন্ট, মার্চেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর সহ গ্রাহকদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
উল্লেখ্য, বিকাশ বিশেষ কাস্টমাইজড কমপ্লায়েন্স টুল ‘এএমএল ৩৬০ ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সল্যুশন’ ও স্ক্রিনিং ইনটেলিজেন্স সিস্টেম (এসআইএস) এর মাধ্যমে যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে এমএফএস খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এমএন