রাজধানীতে কাঁচামরিচ, বেগুন, শসা এবং পটলসহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। 

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। এরমধ্যে নামছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে পিকআপ-ট্রাক মাল নিয়ে আড়তে আসতে সমস্যা হচ্ছে। তাতে কাঁচা মরিচ, বেগুন এবং শসার দাম বেড়েছে। তবে লকডাউন থাকলেও টানা বৃষ্টি না বন্ধ হলে সবজির দাম কমে যাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।  

আরও পড়ুন : দাম কমেনি তেলের, চাল-ডালও চড়া

শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ এবং বাড্ডার কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। 

মধ্যবাড্ডার ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ কারওয়ান বাজারেই ১০০ টাকা কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে মরিচ আনিনি। এগুলো আগের মরিচ। কেজি ৮০ টাকা।

তিনি বলেন, শুধু মরিচ নয়, আজ পটল, শসা, বেগুনেরও দাম বাড়তি। বেগুনের কেজি ৬০ টাকা। ৩৫-৪০ টাকার পটল বিক্রি করছি ৪০-৪৫ টাকা কেজি। ৪৫-৫০ টাকার শসা বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজিতে।

কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ী সিকদার হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ নেই। তাই মালের দাম বেশি। বর্ষা মৌসুমে মরিচের দাম বাড়ে। কারণ, নিচুর এলাকার মরিচের খেত ডুবে যাচ্ছে।

বাজারগুলোতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। টমেটো-গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। তবে বরবটি, ঝিঙে, ঢেঁড়স, কাকরোল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। আগের মতো বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, ধুন্দল-ঝিঙে ৫০ টাকা, পেঁপে-ঢেঁড়স ৪০ টাকা এবং কাকরোল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

এছাড়া কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। আর বিদেশি মোটা দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে।

আমদানি করা আদার কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। দেশি আদার কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০-৬০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজিতে। মুরগির মধ্যে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। সাদা কক বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। সোনালী বা পাকিস্তানি কক ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকা দরে।

এমআই/এইচকে