গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও করোনাকালে সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদ উদযাপন করার সুযোগ করে দিতে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান অর্থ সহায়তা গ্রহণ করছে। গ্রাহকরা সহজেই ঘরে বসেই পছন্দের প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদ উদযাপনে পাশে দাঁড়াতে পারছেন। তাছাড়া সারা বছর জুড়েই অনুদান দিয়ে বিভিন্ন মানবহিতৈষী কার্যক্রমে যুক্ত থাকেন বিকাশ গ্রাহকরা।

ইতোমধ্যে পৌনে ৯ লাখ গ্রাহক ৬০টি প্রতিষ্ঠানে ২৯ কোটি টাকা বিকাশের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন, যা করোনাকালীন আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় সহায়তা করছে সুবিধাবঞ্চিতদের।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকাশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার এ সময়েও সবাই যেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য আরও সহজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই গত বছর বিকাশ অ্যাপে ‘ডোনেশন’ আইকন যুক্ত হয়। এর ফলে, একদিকে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুদান সংগ্রহ যেমন সহজ হয়েছে, অন্যদিকে গ্রাহকরা ঘরে বসেই অনুদান দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

বর্তমানে এক টাকায় আহার (বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন-এর প্রজেক্ট), অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সাজিদা ফাউন্ডেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যাডভান্টেজড উইমেন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন, এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আইসিডিডিআরবি, ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, অলটার ইয়ুথ, এসো সবাই, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, মজার ইশকুল (একটি অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন উদ্যোগ), ফিলিস্তিন দূতাবাস ঢাকা, মির্জাপুর এক্স-ক্যাডেটস অ্যাসোসিয়েশন, তাসাউফ ফাউন্ডেশন সহ ৬০টির মতো প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।

অনুদান দিতে গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপের ‘মোর’ আইকন অথবা সাজেশনস অংশ থেকে ‘ডোনেশন’ আইকন নির্বাচন করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিতে চান তা নির্বাচন করে অনুদানের পরিমাণ দিয়ে পরের ধাপে নাম, ইমেইল আইডি দিয়ে সাবমিট করতে হবে। গ্রাহক চাইলে ‘পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক’ অপশন নির্বাচন করে নিজের পরিচয় গোপনও রাখতে পারেন। পরের ধাপে পিন নম্বর দিয়ে অনুদান কার্যক্রম শেষ করার পর একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পেয়ে যাবেন গ্রাহক।

এসআই/এসএম