২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ৯ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আসে ৮ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। করোনা মহামারির মধ্যেই গত অর্থবছর ৫৭৪ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার  মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আসে ৮ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। করোনা মহামারির মধ্যেই ৫৭৪ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয় গত অর্থবছরে। প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় নিবন্ধন সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৫ %। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছিল ২১ হাজার ১৪টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৯৪টি।

২০২১ সালের জুন মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৯৬টি। নিবন্ধনের তুলনায় রিটার্ন দাখিলের হার ৭৭%। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২১ হাজার ৫১২টি, শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৭০%।  অনলাইনে অথবা মোট রিটার্ন দাখিলের সংখ্যার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে এই কমিশনারেটেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দাখিল করা হয়।

আকবর হোসেন বলেন, করোনা অতিমারির এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে বছরের উল্লেখযোগ্য সময় কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার পর্যটন এলাকা বন্ধ ছিল। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিউটি পার্লার, কমিউনিটি সেন্টারসহ বেশকিছু সার্ভিস সেক্টরের কার্যক্রম সীমিত ছিল। এতোসব প্রতিকূলতার মধ্যেও এই বিশাল অর্জন সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, এই অর্জনের সব কৃতিত্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কর্ম সম্পাদনের ফসল এই অর্জন।   

তিনি বলেন, করদাতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার দফতর অনলাইনে সহজে নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের জন্য ৮টি বিভাগীয় দফতরের মাধ্যমে ৩টি ভ্যাট মেলার আয়োজন করে। মার্কেটে মার্কেটে ভ্যাট বুথ স্থাপনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করেছে। যার প্রভাব রাজস্ব আদায়সহ অন্যান্য অর্জনে প্রতিফলিত হয়েছে।

কেএম/এসকেডি