হঠাৎ করেই বেড়েছে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের প্রধান উপাদান লবণের দাম। প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হতো ৬৫০ টাকা ৭০০ টাকা, বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দাম বেড়ে ওই বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংকটের কথা বলে একটি অসাধু চক্র কোরবানির আগেই লবণের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে লবণের আড়তদারদের দাবি দাম বাড়েনি। আবার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সিন্ডিকেট করে যারা দাম বাড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত লালবাগের পোস্তার ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে একটি চক্র লবণের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের জন্য বাধ্য হয়ে বেশি দামেই লবণ কিনতে হচ্ছে। এতে করে চামড়া সংরক্ষণের খরচ বেড়ে যাবে।

পুরান ঢাকার পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাজি টিপু সুলতান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার (২১ জুলাই) বিকেল থেকেই লবণের দাম বাড়তি। তারা সংকটের কথা বলছেন। আগে প্রতি বস্তা লবণ ৫৫০ টাকা ছিল। এই মাসের শুরুতে তা বেড়ে ৬৫০ টাকা ৭০০ টাকা হয়। এ বস্তাই আজ ৯০০ এক হাজার টাকা হয়েছে গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নিলে সমস্যা হয়ে যাবে।

তিনি জানান, গতকাল যে চামড়া কেনা হয়েছে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আজও আমরা কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কিনছি। গতকালের চেয়ে আজ প্রতিবর্গ ফুটে ৫ টাকা বেশি দিচ্ছি। অ্যাভারেজ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে।

পুরান ঢাকা লালবাগে লবণের খুচরা ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, পশুর চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত আয়োডিনবিহীন মোটা লবণ গত সপ্তাহে প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি) ৬৮০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

গত ১০-১৫ দিনে লবণের দাম বাড়েনি দাবি করে পূবালী সল্টের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত মাসে ১০০ টাকার মতো বেড়ে প্রতি বস্তা লবণ ৬৫০ থেকে ৬৭৫ টাকায় বিক্রি করেছি। এখনও আগের দামই আছে। ঈদে সবকিছু বন্ধ। হয়তো কোনো খুচরা ব্যবসায়ী এই সুযোগ নিয়ে দাম বেশি নিয়েছে।

খোঁজ নিলাম পাইকারি বাজারেও লবণের দাম বাড়েনি। পর্যাপ্ত মজুত আছে। চাইলে এখনো ওই ৬৫০ থেকে ৬৭৫ টাকায় মোটা লবণ কেনা যাবে বলেও তিনি জানান।

এসআই/এমএইচএস