চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত মালামাল খালাসে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ৮ কাস্টমস কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুদক উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন নাহার জনি, মির্জা সাইদ হাসান ফরমান, মো. মাহমুদুল হাসান মুন্সী, মো. মাহবুবর রহমান, মো. ওমর ফারুক, মো. সাইফুল ইসলাম, মাহমুদা আক্তার লিপি ও  রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বদলিকৃত দুই কর্মকর্তার আইডি ব্যবহার করে সাত জন সিঅ্যান্ডএফের সহযোগিতায় বন্দর হতে আমদানিকৃত মালামাল খালাস করে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুল্ক ফাঁকির কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে দুদক অবশ্যই তদন্ত করবে। একইসঙ্গে সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। যেকোনো দুর্নীতির ক্ষেত্রেই দুদক ব্যবস্থা নেবে। আমরা চেষ্টা করছি, আপনারা দেখছেন। আপনারাও তথ্য দেন সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএম/এইচকে/এমএইচএস