রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন দেশে থেকে ফেরত আসা পণ্যের চালান খালাস ও পুনঃরফতানি সহজ করার জন্য ১০টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের কাস্টমস ও বন্ড বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মশিউর রহমান মন্ডল সই করা আদেশ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রফতানি বাণিজ্যের প্রসার, উদারীকরণ ও সহজীকরণের লক্ষ্যে কাস্টমস আইনে দেওয়া ক্ষমতাবলে এনবিআর রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন দেশে থেকে ফেরত আসা পণ্য চালান খালাস ও পুনঃরফতানির স্বার্থে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-

ফেরত আসা পণ্য চালানের আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত সব দলিল যথাযথভাবে যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে;

ন্যূনতম একজন সহকারী কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পণ্য চালানগুলো শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে পণ্যের বর্ণনা, ওজন, সংখ্যা বা পরিমাণ প্রভৃতি নিশ্চিত হয়ে খালাস ও পুনঃরফতানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে;

খালাসকালে আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে;

পুনঃরফতানির আগে সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে;

খালাসকালে হালনাগাদ অথবা বর্ধিত জাহাজীকরণের মেয়াদ সম্পন্ন রফতানি আদেশের কপি দাখিল করতে হবে;

পণ্য খালাসের এক বছরের মধ্যে ফেরত আসা পণ্য চালান পুনঃরফতানি করতে হবে;

বন্ড লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক-করের সমপরিমাণ নিঃশর্ত ও অব্যাহত ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ সাপেক্ষে পণ্য চালান খালাস দিতে হবে;

রফতানিমুখী বন্ডেড শিল্প প্রতিষ্ঠান ফেরত আসা পণ্য চালানের বিপরীতে এ মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করবে যে, ‘পণ্য চালান খালাসের এক বছরের মধ্যে রফতানি করতে ব্যর্থতায় ছাড়কৃত চালানের বিপরীতে প্রযোজ্য শুল্ক - করাদি পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে’।

ব্যাংক গ্যারান্টি অথবা অঙ্গীকারনামার শর্তাদি পরিপালনে ব্যর্থ হলে শুল্ক কর আদায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে রফতানিকারক এনবিআরে আবেদন করতে পারবে।

এর মাধ্যমে পণ্য খালাস ও পুনঃরফতানি সংক্রান্ত ২০০৭ ও ২০১৭ সালের এ সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

আরএম/এসএসএইচ