এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ১২ বছর পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

শনিবার (৯ অক্টোবর) ‘৫০-এ বাংলাদেশ : টেস্ট কেস থেকে ডেভেলপমেন্ট রোল মডেল” শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে অংশ তিনি এ আহ্বান জানান।

অস্ট্রেলিয়ার ৬টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড, আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি, কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড এবং ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটি  দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করে।

মূল উপস্থাপনা সেশনে সভাপতিত্ব করেন মোনাশ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমরিক সোহাল। এ সময় আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শামস রহমান উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহানসহ অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা যুক্ত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও নৈতিক উৎপাদন প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে পোশাক শিল্পের অসাধারণ অগ্রগতির উপরও আলোকপাত করেন। তার উপস্থাপনায় প্রধান বিষয়গুলো ছিল পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জসমূহ, সম্ভাবনা এবং শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারগুলো।

তিনি বলেন, আমরা শিল্পের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য শিল্পের অগ্রাধিকারমূলক করণীয়গুলো নির্ধারণ করেছি। পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বাজার বহুমুখীকরণ, উচ্চ মানের টেক্সটাইল শিল্পে বিনিয়োগ বিশেষভাবে নন-কটন ক্ষেত্রে, উদ্ভাবনী সক্ষমতার বিকাশ ও মূল্য সংযোজন এবং প্রযুক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রগুলোতে। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়া সাবলীল রাখতে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে এলডিসি গ্রাজুয়েশন ট্রানজিশন সময়কাল ১২ বছরের জন্য বাড়ানোর অনুরোধ জানান।

ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৩ শতাংশই এককভাবে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আসে এবং শিল্পটি ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড সংযোগ শিল্পে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ শিল্পের জন্য মারাত্মক আর্থিক সংকটের সৃষ্টি করেছে এবং শিল্পের পুনরুদ্ধারের জন্য কিছু সময় লাগবে, তাই আমরা অস্ট্রেলিয়াসহ সকল উন্নয়ন সহযোগীদের এলডিসি গ্রাজুয়েশন সময়কাল ১২ বছরের জন্য বাড়ানোর অনুরোধ করছি।

আরএম/এসকেডি