সকাল সকাল বাজার করতে বের হয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হামিদুর রহমান। তিনি এসেছেন গুলশানের একটি কাঁচাবাজারে। গিয়ে দেখেন, সবজির বাজারে আগুন। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।

হামিদুর রহমান বলেন, মাছ-মাংস কিনতে গিয়ে অনেক দাম। কিছু না কিনেই সেখান থেকে ফিরে আসলাম। এখন সবজির বাজারে এসে দেখি এখানেও দামের আগুন। যে সবজিরই দাম করি, সেটাই ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষরা এখন সবজিও কিনে খেতে পারবে না।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে সব ধরনের সবজিই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না।

বাজারে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। একইভাবে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উস্তা ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১৪০, মুলা ৬০, ঝিঙা ৬০, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ টাকা এবং বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৬০ টাকায়।

দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। মাছ-মাংস কিনতে গিয়ে বেশি দামের কারণে ফিরে আসছেন সবজি বাজারে। সেখানেও রক্ষা নেই। বেশ কিছুদিন ধরে পেঁপে এবং আলু ছাড়া প্রতিটি সবজির দামই বেশি।

বাড্ডা কাঁচাবাজারে এসেছেন গার্মেন্ট কর্মী লাল মিয়া। তিনি বলেন, বাজারে শুধুমাত্র আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা আর পেঁপের কেজি ৩০ টাকা। এছাড়া সব ধরনের সবজিই ৫০/৬০ টাকার ওপরে। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এগুলো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শখ করেও এখন ভালো খাবার খাওয়া যায়না।

এএসএস/এমএইচএস