সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলের (সিপিএফ) মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার। তিনটি স্তরে সর্বোচ্চ ১৩ থেকে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে জিপিএফ প্রারম্ভিক স্থিতির পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফার হার হবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ এক টাকা থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ শতাংশ। প্রারম্ভিক স্থিতি ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে মুনাফার হার হবে ১১ শতাংশ।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানের (স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, করপোরেশন ইত্যাদি) আর্থিক সঙ্গতি একরকম না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহ তাদের নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধান ও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ছকে বর্ণিত স্লাবভিত্তিক হারকে সর্বোচ্চ হার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সিপিএফে জমা করা আমানতের ওপর হ্রাসকৃত হারে মুনাফা নির্ধারণ করতে পারবে।

জিপিএফে সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। এই তহবিলে রাখলে মুনাফাসহ টাকা দেয় সরকার। চাকরি শেষে ভালো একটা অঙ্ক নিয়ে ঘরে ফিরতে পারেন কর্মচারীরা।

অন্যদিকে সিপিএফে টাকা রাখলে যে পরিমাণ টাকা রাখেন কর্মচারীরা, সরকার ওই পরিমাণ টাকাই তাঁদের অনুদান দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত জমার ওপর কোনো মুনাফা দেয় না।

রাজস্ব খাত থেকে যারা বেতন পান, তারাই জিপিএফে টাকা রাখতে পারেন। রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে যাঁরা বেতন পান, তাঁরা টাকা রাখেন সিপিএফে।
 
এসআই/আরএইচ