ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে নয় হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও চীনা এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। 

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং চীনা এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝাং তিয়ানকিন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। 

চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্পের বার্ষিক সুদের হার দুই শতাংশ, পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
 
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী আশুলিয়া অংশে যানজট কমে যাবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের অ্যালাইনমেন্টের মধ্যে অবস্থিত। তাছাড়া, ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল চন্দ্রা করিডোরে যানজট কমেবে।

এতে আরও জানানো হয়, বিমানবন্দর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল দিয়ে ইপিজেড পর্যন্ত অংশে নির্মাণ করা হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। মূল উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য হবে ২৪ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০ কিলোমিটার। 

এ প্রকল্পে উড়ালসড়ক ছাড়াও ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নবীনগর এলাকায় নির্মাণ করা হবে এক দশমিক ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার। এছাড়াও দুই দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু, ৫০০ মিটার ওভারপাস, ইউটিলিটির জন্য ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ ও ডাক্ট এবং পাঁচটি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে।
 
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে নয় হাজার ৪৭২ কোটি টাকা দেবে চীন সরকার। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দেবে। প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন।

এসআর/আরএইচ