মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) বিশেষ সফটওয়্যার পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে নতুন করে আরও পাঁচটি কোম্পানিকে সফটওয়্যার বিক্রয়ের অনুমতি নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বার্ষিক পাঁচ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাটের বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতার রয়েছে। আগে ৪৩টি কোম্পানির ভ্যাটের বিশেষ সফটওয়্যার বিক্রয়ের অনুমতি ছিল। এবার নতুন করে আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান যোগ হলো।

সোমবার (৮ নভেম্বর) নতুন পাঁচ কোম্পানির তালিকাভুক্তির বিষয়টি এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তালিকাভুক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— ঢাকার পাকিজা টেকনোলজিস লিমিটেড, সিনটেক সল্যুশন লিমিটেড, ইউনিপ্রো সফটওয়্যার বিডি লিমিটেড ও সিস্টেম রিসোর্সেস লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের নিউ টেকনোলজি সিস্টেমস লিমিটেড।

এসব সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এতে ক্রয় ও বিক্রয়ের চালানের তথ্য এন্ট্রি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব ধরনের হিসাবে হালনাগাদ (আপডেট) হয়ে যাবে। সফটওয়্যারে বিভিন্ন মূসক হারও দেওয়া রয়েছে। প্রতিটি বেচাকেনার তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে এসব সফটওয়্যারে।

নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী, আমদানিকারক কিংবা উৎপাদনকারী পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা বছরে পাঁচ কোটি টাকা পেরিয়ে গেলেই এ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ২ লাখ ৮০ হাজার প্রতিষ্ঠান বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নিবন্ধন নিয়েছে। যা ভ্যাট নিবন্ধন হিসেবে পরিচিত। যা ব্যবহার করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রির বিপরীতে সংগ্রহ করা ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।

এনবিআরের আদেশ অনুযায়ী, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা-২০১৬ অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে।

সাধারণত ব্যবসার বাৎসরিক টার্নওভার ৩০ লাখ টাকার নিচে হলে প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হয় না। যদি ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। আর যদি ৮০ লাখ টাকার উপরে ভ্যাট হয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

আরএম/এসএসএইচ