যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে দুই সমঝোতা
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চেম্বার ওয়েলস ও ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
লন্ডনের সময় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) কার্ডিফে এই দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং চেম্বার ওয়েলসের সভাপতি পল স্লেভিন এবং ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আলীম নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞাপন
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, যুক্তরাজ্যে বাজারের উপযোগী অনেক পণ্য তৈরি করে বাংলাদেশ। তাই যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার হলে, দুই দেশেরই ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে দেশটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং এবং রফতানি বহুমুখীকরণের পথ প্রশস্ত হবে। একই সঙ্গে দুদেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। চেম্বার ওয়েলস এবং ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি যুক্তরাজ্যের ভোক্তাদের আগ্রহী করে তোলার বিষয়ে আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
একই দিনে এফবিসিসিআই সভাপতি কার্ডিফে ওয়েলসের সমাজসেবা বিষয়ক উপমন্ত্রী মিস জুলি মরগানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দারিদ্র্য নিরসনের জন্য বাংলাদেশ এখন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য অর্থনৈতিক রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, দারিদ্র্য বিমোচন, ই-গভর্নেন্স, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশই এখন সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে মুনাফা প্রত্যাবাসন, কর অবকাশ এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত আমদানি রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের কর্মঠ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই শিক্ষিত, দক্ষ, পরিশ্রমী এবং ইংরেজিতে পারদর্শী। সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষ শ্রমশক্তির কথা বিবেচনা করে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাই।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং পর্যটন খাতে উন্নয়ন প্রকল্প ও বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ঐতিহাসিক কার্ডিফ ক্যাসেল পরিদর্শন করেন। ওয়েলস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক সই এবং ওয়েলসের সমাজসেবা বিষয়ক উপমন্ত্রী জুলি মরগানের সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, ফাহিম আজহার; অ্যাম্বাসাডর অব সাইবার ওয়েলস, এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. রেজাউল করিম রেজনু; মো. তবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ডা. নাদিয়া বিনতে আমিন, খান আহমেদ শুভ, ডা. ফেরদৌসী বেগম, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা ও ইঞ্জিনিয়ার মো. মহব্বত উল্লাহ।
এসআই/এইচকে