মানিকগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, রায়েরবাজার, কামরাঙ্গীরচর ও বসিলার একটি অংশ নিয়ে গঠিত কর অঞ্চল-১২। সারাদেশে নিবন্ধিত ৬৮ লাখ করদাতার মধ্যে ৩ লাখ ৯৩ হাজার জন এ কর অঞ্চলের আওতাধীন।

অন্যান্য কর অঞ্চলের মতো এ কর অফিসে ১ নভেম্বর থেকে মেলার পরিবেশে করসেবা দেওয়া হচ্ছে। রয়েছে জোন ভিত্তিক বুথ, ই-টিআইএন ও তথ্য সেবা বুথ। তবে জায়গা সংকটের কারণে অফিসের ভেতরেই করদাতাদের বিশেষ সেবা দিচ্ছে ২২ সার্কেলের কর অঞ্চলটি।

করদাতা হিসেবে এনবিআর বৃহৎ একটি অফিস হলেও রয়েছে জনবল সংকট। মাত্র ১৭৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কর অঞ্চলে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও অর্গানোগ্রাম অনুসারে এখানে ২৬০ জন কর্মরত থাকার কথা। তাই লোকবল বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) কর অফিসটি সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

করসেবা ও কর অফিসের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কর কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা রেখেছি। এক জায়গায় সব করদাতা সেবা পাচ্ছেন। আমরা আশা করছি করদাতাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাব।

তিনি আরও বলেন, করের আওতা বৃদ্ধি করতে কর অঞ্চল-১২ এর অধীনে কর জরিপকাজ চলমান রয়েছে। সেখান থেকেও বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া রাজস্ব আদায়েও ইতিবাচক সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। গত তিন মাসে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

কর অফিস সূত্রে জানা যায়, কর অঞ্চল-১২ এর আওতায় ২২টি সার্কেল রয়েছে। মানিকগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, রায়েরবাজার, কামরাঙ্গীরচর ও বসিলার একটি অংশের করদাতারা এ অঞ্চলভুক্ত। এ কর অঞ্চলের অধীনে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৩ হাজার ই-টিআইএন নিয়েছেন। যেখানে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৬ জন। যার মধ্যে প্রায় দেড় লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। এছাড়া কর জরিপ চলমান থাকায় করের আওতায় আরও বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছরও আয়কর মেলার আয়োজন থেকে বিরত রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেওয়া হচ্ছে। আয়কর মেলার আদলে কর অফিসগুলোতে করদাতারা পাচ্ছেন ‘ওয়ানস্টপ’ সেবা। এছাড়া অনলাইনে বিকাশ, রকেট, নগদ, ইউক্যাশ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস ২০২১ উদযাপন করা হবে।

২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর কর মেলা আয়োজন করে আসছে এনবিআর। তবে গত বছরও করোনা বিবেচনায় নিয়ে মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

আরএম/এসএসএইচ