জিবিবি পাওয়ার, মুন্নু সিরামিকস ও মুন্নু এগ্রোসহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২ কোম্পানি সমাপ্ত বছরের (২০২০) দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। আগের দিন রোববার কোম্পানিগুলোর পর্ষদ অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০ প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড, মুন্নু সিরামিকস লিমিটেড, মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ লিমিটেড, বিডি সার্ভিসেস লিমিটেড, উসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি লিমিটেড, জিকিউ বলপেন লিমিটেড, ন্যাশনাল টি লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড, সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে (ইপিএস) ৭৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে কোম্পানিটির।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) মুন্নু সিরামিকস লিমিটেডের ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৩ পয়সা। অর্থাৎ একই সময়ে ইপিএস কমেছে। 

একই গ্রুপের মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭৪ পয়সা। জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে।

এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে বড় লোকসানে পড়েছে বিডি সার্ভিসেস লিমিটেড। অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে। ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ১ টাকা ৬৭ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বস্ত্র খাতের অপর কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি লিমিটেড। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ০৪ পয়সা।

জিকিউ বলপেন লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ২১ পয়সা। ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৬৯ পয়সা।

ন্যাশনাল টি লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ২৭ পয়সা। জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৬ টাকা ৬২ পয়সা।

লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২০ পয়সা। গত ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ৩৯ পয়সা।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২৬ পয়সা। জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩৩ পয়সা।

জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১৫ পয়সা।

এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে। দুই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৬০ পয়সা। তবে দুই প্রান্তিক মিলে ইপিএস বেড়েছে।

এমআই/এমএআর/