ভ্যাট ফাঁকির প্রায় ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা দিয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম)। বৃহস্পতিবার এ অর্থ জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে তিন বছরের নথিপত্রে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় বিএসআরএমের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। 
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, তদন্তকালে বিএসআরএমকে আত্মপক্ষ সমর্থনে একাধিকবার পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে মামলা করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভুল স্বীকার করে অপরিশোধিত মূসক বাবদ সমুদয় রাজস্ব স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বেচ্ছায় সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরকে জানায়। তদন্তে উদঘাটন হওয়া পরিহারকৃত সমুদয় ভ্যাট আদায় হওয়ায় মামলা দুটি নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, বিএসআরএম গ্রুপের স্টেইনলেস স্টিল পণ্য উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রায় ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার অপরিশোধিত ভ্যাটের তথ্য উদঘাটন করে ভ্যাট গোয়েন্দা। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড।

বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন সময়কালের কার্যক্রম তদন্ত করা হয়। তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎসে ভ্যাট বাবদ ২১ কোটি ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৩ টাকা প্রযোজ্য হলেও প্রতিষ্ঠানটি ছয় কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার ২৯১ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেনি। এছাড়া স্থাপনার ভাড়া বাবদ ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ টাকার ভ্যাটও ফাঁকি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। 

অন্যদিকে, বিএসআরএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড একই সময়ে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎসে ভ্যাট বাবদ দুই কোটি ৯৬ লাখ ৭২ হাজার ১৬৭ টাকা, স্থান ও স্থাপনার ভাড়ার বিপরীতে সাত লাখ ১৮ হাজার ছয় টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ রয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি ও দুই শতাংশ সুদসহ মোট ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩২ টাকা আদায়যোগ্য ছিল। ফাঁকি দেওয়া ভ্যাটের অর্থ বৃহস্পতিবার জমা দিল বিএসআরএম।

ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে একটি দল প্রতিষ্ঠান দুটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আরএম/আরএইচ