মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড (উপায়) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেছেন রেজাউল হোসেন।

ইউসিবি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড, ‘উপায়’ নামে দেশজুড়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিচ্ছে।

বাংলাদেশের টেলিকম ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সেলস, মার্কেটিং ও ডিস্ট্রিবিউশনে ২৬ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রেজাউল হোসেন কাজ করেছেন গ্রামীণফোন, সিটিসেল, এয়ারটেল ও বিকাশসহ বিভিন্ন দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানির নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে। তার উদ্ভাবনী ও দৃঢ় নেতৃত্বে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ এবং আর্থিক প্রযুক্তিগত খাত।

উপায়-এ যোগদানের আগে রেজাউল হোসেন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস স্টার্টআপ ‘নগদ’ অন্যতম। ২০১৮ সালে তিনি কয়েকজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তার সঙ্গে মিলে ‘নগদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। 

এর আগে ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে বিকাশে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থা থেকে শুরু করে মাত্র পাঁচ বছরেই বিকাশের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখে উন্নীত করেন। 

রেজাউল হোসেনের যোগদান প্রসঙ্গে ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'উপায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে রেজাউল হোসেনের যোগদানে উপায় পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত আনন্দিত। উপায়-কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে রেজাউল হোসেনের পাশে থেকে, তাকে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করবে উপায় পরিচালনা পর্ষদ। আমরা আশাবাদী যে, রেজাউল হোসেনের মতো একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ বিজনেস লিডার উপায় এর কৌশলগত লক্ষ্যকে সামনে রেখে উপায়-কে বাংলাদেশের একটি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এমএফএস প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। টেলিযোগাযোগ ও এমএফএস খাতে তার অর্জিত অনন্য অভিজ্ঞতা এবং কোনো প্রতিষ্ঠানকে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে সফল অবস্থানে নেওয়ার দক্ষতা অবশ্যই বাংলাদেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে উপায়-কে একটি শক্ত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবে।'

উপায় এর সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল হোসেন বলেন, 'উপায়-এ যোগদানের ব্যাপারে আমি বেশ রোমাঞ্চিত। আর্থিক সেবা খাতের নতুন ব্র্যান্ড হলেও, মার্কেটে ইনোভেটিভ সেবা দেওয়ার বিশাল সম্ভাবনা উপায়-এর আছে। বাংলাদেশের আর্থিক প্রযুক্তি খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাই। গ্রাহক চাহিদাকে মাথায় রেখে নিত্যনতুন সেবা চালু করে গ্রাহকদের আনন্দময় অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে উপায় এর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখতে চাই।'

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স প্রাপ্তির পর ২০২১ সালের মার্চ মাসে উপায় তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে উপায়-এর গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ এবং দেশজুড়ে প্রায় এক লাখ এজেন্ট রয়েছে।

জেডএস