তৈরি পোশাক খাতে সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগের সংবাদে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে আচরণবিধি প্রণয়নের সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের কর্মী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) যৌথভাবে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট বা সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিবৃতিতে টিআইবি এসব তথ্য জানিয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তৈরি পোশাক খাত নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে দেশি বিদেশি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী ভাবমূর্তি সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। যদিও এ খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এমন বাস্তবতায় একটি ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট বা সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নে এই খাতের শীর্ষ দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর যৌথ উদ্যোগ একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। পাশাপাশি শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা গেলে খাতের কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের আচরণবিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে বর্ণিত “দায়বদ্ধ ও গণমুখী খাত” হিসেবে দেশের পোশাক শিল্পকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ও নির্দেশকের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা উচিত।

‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির পূর্ববর্তী গবেষণা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সকল অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে পারলে প্রস্তাবিত আচরণবিধি তৈরি পোশাক খাতে আইন প্রয়োগ, ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, শ্রমিক অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে শুদ্ধাচার চর্চার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো দূর করতে সহযোগিতা করবে।

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার বিশেষ করে মজুরি, অতিরিক্ত কর্ম ঘণ্টা, ছুটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্রমিকের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভয়-ভীতিহীন শান্তিপূর্ণ শ্রম পরিবেশ সৃষ্টিতেও জোর দিয়েছে সংস্থাটি।

আরএম/এসকেডি