এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বিনিয়োগকারীদের আবেদন গ্রহণ চলছে (গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে, শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি)। এরপর চলতি মাসে আরও দুটি কোম্পানির সাবস্ক্রিপশন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানি দুটি হলো- বীমা খাতের কোম্পানি দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। অপরটি হল অ্যাগ্রো বেইজড কোম্পানি ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর মধ্যে প্রথমে অর্থাৎ ১৪ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিওতে আবেদন শুরু হবে দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্সের। এরপর মাসের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ইনডেক্স অ্যাগ্রোর আইপিওতে আবেদন। শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

দেশ জেনারেল : ফিক্সপ্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে বীমা খাতের কোম্পানি দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ফলে আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১০ টাকা মূল্যের এক কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড ও ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও বাবদ খরচ করবে।

এই লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের জন্য কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু ১১ টাকা ৬২ পয়সা। শেয়ারপ্রতি আয় ইপিএস এক টাকা ৩৬ পয়সা।

কোম্পানিটির ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ারের চাঁদা নেওয়ার শুরুর দিন থেকে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্য দিবস শেষে চাঁদা দিতে ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম এক (এক) কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।

ইনডেক্স অ্যাগ্রো : অপর কোম্পানি ইনডেক্স অ্যাগ্রোর আইপিওর সাবসক্রিপশন শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৯টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে আসার অপেক্ষায় থাকা কোম্পানিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার প্রতিটি ৫০ টাকা মূল্যে (প্রান্ত সীমা থেকে ২০ শতাংশ বাট্টায়) ইস্যুর মাধ্যমে ২১ কোটি ৮০ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করবে।

আর বাকি ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৫টি শেয়ার কাট-অব প্রাইসে অর্থ ৬২ টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যুর মাধ্যমে ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩০ টাকা উত্তোলন করবে।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভবন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির (৩০ জুন, ২০১৯) সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ নিট সম্পদ মূল্য ৪৫ দশমিক শূন্য তিন টাকায় দাঁড়িয়েছে এবং বিগত পাঁচ বছরের অর্থবছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে সাত দশমিক শূন্য সাত টাকা।

এমআই/এফআর