অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। এখন আমরা সব কাজে, সব টেন্ডারে বিদেশিদের ইনভাইট করার চেষ্টা করি বা তাদের কাজ দেওয়ার চেষ্টা করি। আস্তে আস্তে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব কাজ হাইলি টেকনিক্যাল, যেগুলো আমাদের লোকাল কন্ট্রাকটররা করতে পারেননি, লোকাল বিজনেস হাউজগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি সেসব কাজ করার জন্য আমরা বিদেশিদের অনুমোদন দেবো।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় লোকাল বিজনেসকে এনকারেজ করি। কারণ আমরা চাই লোকাল বিজনেস উন্নতি করুক। সে জন্য বিদেশি যারা কাজ পাবে তারা আমাদের লোকাল কোনো বিজনেস হাউজকে তাদের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চার পার্টনার হিসাবে নিয়ে কাজটি করার জন্য উৎসাহ দিই। সেভাবে যদি কাজটি করা হয় তাহলে আমাদের লোকাল বিজনেস হাউজগুলো সুযোগ-সুবিধা পাবে। আগামী দিনগুলোতে নিজেরাই ডিটেইলস দেখে কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবে। একটা সময় আসবে যখন তারা নিজেরাই এককভাবে কাজটি করতে পারবে। আমরা নিজস্ব ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করার জন্য এ প্রস্তাবনা এনেছি। বৈঠকে এগুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে এটা কীভাবে করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) একটা সুন্দর প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, আমরা সরকারের যেসব ক্রয়গুলো করি যেমন গুডস, সার্ভিসেস, প্রজেক্টসহ যাই হোক, এ ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি থেকেই অনুমোদন দিয়ে থাকি। যেহেতু আমরা অনুমোদন দেই তাই এগুলো যথাযথভাবে আমরা কিনলাম কি না, সেই সার্ভিসটা আমরা পেলাম কি না সেটা আমাদের এ কমিটির দায়িত্ব। 

মুস্তফা কামাল বলেন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ কর্তৃক সরকারি ক্রয়ে আরও অধিক দরদাতা, বিশেষ করে দেশি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কর্তৃক ১১টি সুপারিশ এবং পরিকল্পনামন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ অনুমোদনের জন্য দিয়েছে। কিন্তু আমরা এ প্রস্তাবটি আরও বিচার বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য ফেরত দিয়েছি। এ লক্ষ্যে যেসব জায়গায় বিদেশিদের আমরা না নিলেও পারি, যেসব জায়গায় আমরা নিজেরাই কাজ করতে পারি সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে। সে জন্য আজকে আমরা অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারাও অনেক কাজ করেছে। আমরা সবার কথা শুনেছি, এটাকে আগামী সভায় চূড়ান্ত করব।

এসআর/এসকেডি