বাংলাদেশ ব্যাংক

বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিল করা ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত সময় পাবেন গ্রাহক। সুবিধাটি নিশ্চিত করে নির্দেশনা দি‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গে‌ছে, কোভিড-১৯ এর কারণে ঋণ আদায় কর্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধেও সমান সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আগেই। এখন নতুন নি‌র্দেশনার মাধ্যমে দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পুনঃতফসিলকারীদেরও এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার (৩০ ডি‌সেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সামগ্রিক ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ গ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, ওই সার্কুলারের আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণসহ অন্যান্য পুনঃতফসিল সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ক্ষেত্রেও বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৭/২০২০ এর নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে পুনঃতফসিলের আওতায় ঋণগ্রহীতা থেকে তার অর্থ পরিশোধের জন্য দেওয়া মেয়াদের যে অংশ ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের মধ্যে পড়বে শুধুমাত্র সে অংশ ডেফার্ড (এককালীন এক্সিটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন) হিসেবে বিবেচিত হবে।

গত বছর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাত্র ২ শতাংশ নগদ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য মন্দমানের খেলাপি ঋণ নবায়নের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৯ শতাংশ। এমনকি পুনঃতফসিলের আগে সুদ মওকুফ সুবিধার সুযোগও রাখা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো খসড়া পরিপত্রের আলোকে ১৬ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ এ নীতিমালার আওতায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরা ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ব্যাংকগুলো ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনারোপিত সুদের সম্পূর্ণ অংশ এবং ব্যাংকের স্থগিত খাতে রক্ষিত সুদের পুরোটা মওকুফ করতে পারবে। তবে কোনো ক্ষেত্রে সুদহার ৯ শতাংশের বেশি হবে না। মাসিক অথবা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে এ ঋণ আদায় করা যাবে। প্রচলিত নিয়মে আসল এবং সুদ বিবেচনায় নিয়ে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। ঋণঃতফসিলের ক্ষেত্রে নগদে ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট নিতে হবে। কোনো ঋণের ৯ মাসিক কিস্তির মধ্যে ৬ এবং ৩টি ত্রৈমাসিক কিস্তির ২টি অনাদায়ী হলে এ সুবিধা বাতিল হবে।

এসআই/এসএম