ফাইল ছবি

জাতীয় বীমা দিবসে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বীমাটির মেয়াদ হবে এক বছর। এ সময়ে যদি কোনো গ্রাহক মাত্র ১০০ টাকা প্রিমিয়ামে বীমা করেন তবে তাকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইডিআরএর চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ চালু করেছি। জাতীয় বীমা দিবসে বীমাটির উদ্বোধন করা হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের সব মানুষ যাতে সুরক্ষায় থাকেন। তার এ ইচ্ছাপূরণের জন্য আমরা উদ্যোগটি নিয়েছি। মাত্র ১০০ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা বিষয়টিকে ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বীমার আওতায় এলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কাজ করেন।

তিনি বলেন, আমরা জানি না কখন কার বিপদ আসে। তাই এ বিমার আওতায় আসলে গ্রাহক কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

আইডিআরএর তথ্য মতে, বীমার মেয়াদ হবে এক বছর। এটি নবায়নযোগ্য (পরে মেয়াদ বাড়াতে পারবে)। এ ক্ষেত্রে সাধারণ বীমা গ্রাহকদের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৬ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর। আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর। এককালীন বীমার প্রিমিয়াম ১০০ টাকা। কাভারেজ দুই লাখ টাকা।

কাভারেজ বা ক্ষতিপূরণের বিস্তারিত

বীমার আওতায় আসা গ্রাহকের দুর্ঘটনায় ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যু হলে তার ওয়ারিশদার দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আঘাতের ছয় মাসের মধ্যে দুটি চোখ, কিংবা দুটি হাত, দুটি পা হারালে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। এছাড়াও একটি হাত, একটি পা কিংবা একটি পা ও একটি হাত সম্পূর্ণ হারালে গ্রাহক দুই লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ পাবেন।

একইভাবে আঘাতের ছয় মাসের মধ্যে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ হারিয়ে গেলে গ্রাহক এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। একইভাবে একটি হাত কিংবা একটি পা হারালে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।

এছাড়াও আঘাতের কারণে বীমা করা ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে কর্মঅক্ষম হলে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। বীমাকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

এমআই/এসএসএইচ