আর্থিক অপরাধ, মানি লন্ডারিং ও কর্পোরেট গভর্নেন্স না মানাসহ নানা অনিয়মের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী পলিসি হোল্ডার্স ও সামগ্রিক পুঁজিবাজারের সুরক্ষার জন্য কোম্পানিতে ১০ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কমিশন বিনিয়োগকারী, পলিসি হোল্ডার ও সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারে উন্নয়নের জন্য ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করছে।

ড. মুহাম্মদ রহমতউল্লাহকে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে। নতুন পর্ষদে ১০ জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন। একই সঙ্গে কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে অনতিবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির তথ্য মতে, নবনির্বাচিত পর্ষদ কোম্পানি করপোরেট গভর্নেন্স ২০১৮ আইন অনুসারে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের একটি নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবে এবং একটি নমিনেশন ও রিমুন্যারেশন কমিটি গঠন করবে। পুনর্গঠিত পর্ষদ আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন করবে।

করপোরেট ক্যাশ ও সম্পদ ফিরিয়ে আনবে এবং যারা গত ১০ বছর ধরে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে আর্থিক অপরাধ ও মানিলন্ডারিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
  
এছাড়াও কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এই মর্মে নিশ্চিত করবে যে কোম্পানির সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক নেই এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স আইন ২০১৮ ও বিমা আইন ২০১০ অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন পরিবর্তন করবে।

এমআই/ওএফ