এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সাবস্ক্রিপশনে ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার পেতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৪৫২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়ে। যা শতাংশের হিসেবে ৯৪২ শতাংশ বা ৯ গুণের বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য কোম্পানিটি চলতি মাসের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে আবেদন গ্রহণ করে। এ সাবস্ক্রিপশন আবেদন যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ করা ৪ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার পেতে ৫২০ যোগ্য অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেন। যেখানে শেয়ারের পরিমাণ ৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০টি। অর্থাৎ যা প্রয়োজনের তুলনায় ৯৪২ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।

অর্থাৎ ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৪৫২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। বাকি শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। উত্তোলিত অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজ কেনা, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও ব্যয় বাবদ খরচ করবে কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ ব্যাংককে অনুমোদন দেয়। সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা।

সর্বশেষ হিসেবে, গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ সাত হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। গত বছরের মুনাফা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগের বছর প্রকৃত মুনাফা ছিল ১১৫ কোটি টাকা।

২০১৩ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্যাংকটি ওই বছরের ২ এপ্রিল কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকটির ৮৩টি শাখা, বিআরটিএ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের বুথসহ ৪০০টি উপশাখা ও ৫৮৯টি এজেন্ট রয়েছে।

এমআই/এমএইচএস