ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

কোম্পানিটির শেয়ার কোনো কারণ ছাড়াই আড়াই মাসে বেড়েছে প্রায় আট গুণ। আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা পোস্টে ‘ওরিয়ন গ্রুপের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশিরা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

এরপরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ দিল বিএসইসি। চিঠিতে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্তের ক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ারদর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারসাজি হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের ফ্রড ট্রেড হয়েছে কি না তাও তদন্ত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। একই সঙ্গে কোম্পানিটির অডিট এবং আনঅডিটকৃত আর্থিক প্রতিবেদনও খতিয়ে দেখতে বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১ আগস্ট শেয়ারটির দাম ছিল ১১৭ টাকা ১০ পয়সা। সেখান থেকে দুই মাস ১২ দিনে ৮০২ টাকা বেড়ে সর্বশেষ বুধবার লেনদেন হয়েছে ৯১৯ টাকা ৬০ পয়সায়। তাতে ৯০ কোটি টাকার কোম্পানিটির বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে মূল্যবৃদ্ধির এক নজির।

অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিকবার বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছে ডিএসই। ডিএসই থেকে শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানি জানিয়েছিল তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

সার্বিক বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না- তা দেখতে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমআই/আরএইচ