তিন কারণে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওষুধ খাতের কোম্পানি ইসলাম অক্সিজেনের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি এ কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়।

কারণগুলোর হচ্ছে- প্রতিমাসের পণ্য বিক্রির বিপরীতে যে ভ্যাট দেয় তাতে তথ্যের অসঙ্গতি রয়েছে, কোম্পানি সম্পদ দেখানো হয়েছে অতিমূল্যায়তি করে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরে) ৬১ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ফাঁকি দেয়ছে। এ সংক্রান্ত একটি মামলা উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, তিন কারণে কোম্পানি আইপিওর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদেতর স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আবেদন করে ইসলাম অক্সিজেন। তার আগের ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে রোড শো করে।

আইপিওতে ব্যয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি বাকি টাকা দিয়ে নতুন ফ্যাক্টরি বিল্ডিং স্থাপন, প্ল্যান্ট এবং মেশিনারিজ স্থাপনে ব্যয় করবে। অক্সিজেন ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা থেকেই পুঁজিবাজারে যাত্রা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রায় ২৯ বছর আগে স্টিল ট্রেড বিজনেস দিয়ে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করে ইসলাম অক্সিজেন। পর্যায়ক্রমে কোম্পানিটি একাধিক স্টিল উৎপাদন ফ্যাক্টরি গড়ে তোলে। এই স্টিল মিলের প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন উৎপাদনের মাধ্যমে ইসলাম অক্সিজেন বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে ২০১৩ সালে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় প্ল্যান্ট স্থাপন এবং একটি এসিটিলিন প্ল্যান্ট গড়ে তুলেছে।

বিভিন্ন শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, আর্গোশিল্ড, কর্ণন ও বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিক্সড গ্যাস উৎপাদন এবং সরবরাহ করা শুরু করে।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিল জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং রেজিস্ট্রার টু দ্যা ইস্যুয়ারের দায়িত্বে ছিল সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এমআই/এসএম