পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩টি কোম্পানি চলতি বছরের জানুয়ারি-৩১ মার্চ সময়ের বিভিন্ন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে।

ফলে কোম্পানির চলতি অর্থবছরের নয় মাসে মুনাফা বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৩ পয়সা। গতবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরের নয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৫৭ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৯৮ পয়সা।

বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান নিটল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২১) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৮১ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে। তাতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৮৭ পয়সা।

ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ২৬ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৪১ পয়সা।

গত নয় মাসে অর্থাৎ তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে।

তৃতীয় প্রান্তিকের রহিমা ফুড লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১৫ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে।

প্রথম প্রান্তিকে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে।

ফলে তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা।

সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছিল ১৬ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান কমেছে। তাতে চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৯ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ৬৫ পয়সা।

লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৩ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছিল ২২ পয়সা।

গত তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ৭ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২১ পয়সা।

গত ৩১ মার্চ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে অ্যাডভান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৪ টাকা ৮১ পয়সা।

ফলে গত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫৪ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৫ টাকা ৯০ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ, কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরছে।

প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। গতবছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৩ টাকা ৮৫ পয়সা।

রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের (আরডি ফুড) তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১৩ পয়সা (ডাইলুটেড)।

গত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা (ডাইলুটেড)।

এছাড়াও একই গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমরা টেকনোলজি লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে (ইপিএস) ২৩ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা বেড়েছে। তাতে গত ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৪ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।

আর আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৮ পয়সা।

গত নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সা।

এমআই/এসএসএইচ