বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো কাটা) বিনিয়োগের সুবিধা চেয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। রোববার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বিএমবিএ এসব সুপারিশ করে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা রাখা, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করে ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করাসহ চারটি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছি অর্থমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধাসহ চারটি সুবিধা দেওয়া হলে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়া যাবে। বাজার গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।

সরকার কাছে চাওয়া বিএমবিএর প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- বাজেটে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার আড়াই শতাংশ কমানোর। দশ শতাংশ করের ব্যবধান আরও বাড়ানো হলে ভালো পারফরম্যান্সের কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহ পাবে। তাই তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব বিএমবিএ’র।

উৎস কর: কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ কর  এবং লভ্যাংশ বিতরণের সময় ১০ শতাংশ উৎস কর আরোপ করা হয়েছে। এ দ্বৈত কর কমানোর প্রস্তাব করছি। এই কর প্রত্যাহার করা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ: চলতি বছরের মতোই পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করছি। তাতে পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়বে। এতে বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য করহার ৩০ শতাংশ কয়েছে। অথচ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য করপোরেট কর সাড়ে ৩৭ শতাংশ। আমরা সরকারে কাছে মাচেন্ট ব্যাংকগুলোর করপোরট কর ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

এমআই/এসএম