ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত কোনো ব্রোকার হাউজ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের অর্থ ব্যাংক কিংবা আর্থিকপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য কোথাও ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারবে না।

এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), যা মঙ্গলবার (২২ জুন) ব্রোকারহাউজ এবং স্টক এক্সচেঞ্জগুলো পেয়েছে। 

সার্কুলারে বিনিয়োগকারীদের অর্থ থেকে সুদ বাবদ যে লাভ হয়, তা তাদের মধ্যে বিতরণের জন্য ব্রোকার হাউজগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এই নির্দেশনা জারি করেন সোমবার (২১) সন্ধ্যায়।

চেয়ারম্যান সাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে যে টাকা জমা হয়। সে টাকার সুদের লাভের ভাগ বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে।

এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা অর্থের সুদ থাকলে সেগুলোও স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারী প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। আর এটা দিতে হবে অর্থবছর শেষ ৩০ দিনের মধ্যে।

উল্লেখ্য, দুই পুঁজিবাজারে মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫০টি ব্রোকার হাউজ রয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের রয়েছে দেড় শতাধিক ব্রোকার হাউজ। তাতে ২৬ লাখের মত বিও হিসাব রয়েছে।

এছাড়াও নতুন করে ডিএসইতে যুক্ত হচ্ছে আর ৪৬টি ব্রোকার হাউজ। এতে সাড়ে ৪ শতাধিক ব্রোকার হাউজ হবে পুঁজিবাজারে।

এমআই/এইচকে