আর মাত্র একদিন পরই ঈদুল আজহা। ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস অর্থাৎ সোমবার (১৯ জুলাই) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দিনের শুরুর দিকে ছিল শেয়ার বিক্রির চাপ। আর শেষের দিকে ছিল শেয়ার কেনার প্রবণতা।

দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২০১ পয়েন্ট। সূচক বাড়লেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন কমেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে সোমবার সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়। যা অব্যাহত ছিল সকাল ১১টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংক-বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দিনের বাকি সময়ে লেনদেন ছিল সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়।

দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হওয়ার পর এ সূচক আজই সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি শরিয়াহ সূচক আট দশমিক ৩৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মোট এক হাজার ২৬৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৭৯৩ কোটি দুই লাখ টাকা ।

লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। ডিএসইর বাজার মূলধন দুই হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা বেড়ে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে যথারীতি শীর্ষে ছিল সাইফ পাওয়ার লিমিটেড। এরপর ছিল ক্রমান্বয়ে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ফুয়াং ফুড, পাওয়ার গ্রিড, বিকন ফার্মা, রবি আজিয়াটা, জেনারেশন নেক্সট, লাফার্জ-হোলসিম ও এসএস স্টিল লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১৫০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এমআই/আরএইচ