সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ারের দাম কমার দিনে কেবল বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে বড় পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট, আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিমা খাতের ৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। 

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এদিন বাজারে ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ১২০টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।

বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ২ পয়েন্ট, আর ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচকের বৃদ্ধির পর বুধবার সূচকের পতন হলো। এ আগে সপ্তাহের প্রথম দু্দিন রোববার ও সোমবার টানা দরপতন হয়েছিল।

বুধবার সূচক কমলেও আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর আগে লেনদেন হয়েছিল ৬৫০ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ছিল সোনালী পেপার, জিএসপি ফাইন্যান্স, ওয়ান ব্যাংক, ফরচুন সুজ, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস, সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট ও আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৬৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৬টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪৯টির।

এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৯৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬০ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩২ টাকা, অর্থাৎ বুধবার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

এমআই/আরএইচ