দেশের পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারের সংকট রয়েছে। বর্তমানে ২০ থেকে ২৫টি কোম্পানির বেশি নাম বলা যায় না। তাই বাজারে ভাল কোম্পানি ও শেয়ারের সংখ্যা বাড়ানো খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
 
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামে (সিএমজেএফ) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) নেতারা এ কথা বলেন।

তারা বলেন, ভালো কোম্পানি বাজারে এলে এর সঙ্গে নতুন অনেক বিনিয়োগকারীও আসবে। গুণগত মানের শেয়ার তথা কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো না গেলে এই বাজারকে খুব একটা বড় করা যাবে না।

পুঁজিবাজার সংবাদিকদের সংগঠন সিএমজেএফের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে এসে ডিবিএর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজিদুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন এসব কথা জানান।

এ সময় সিএমজেএফের নতুন সভাপতি জিয়াউর রহমান, বিদায়ী সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সিএমজেএফের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু আলী অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আইনকানুনের সংস্কারসহ নানা ধরনের প্রশংসনীয় কাজ করছেন। তবে এসব কাজের ষোল আনা সুফল পেতে বাজারে ভালো শেয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই বিষয়ে বিএসইসির পাশাপাশি সব স্টেকহোল্ডারের করণীয় আছে। 

ডিবিএর সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজিদুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তারা সিএমজেএফের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন।
  
ডিবিএর সহ-সভাপতি সাইফুদ্দিন বলেন, গ্রামীণফোনের পর বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো কোনো কোম্পানি আসেনি। বাজারে নতুন গতি সঞ্চারের জন্য ইউনিলিভার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, মেটলাইফসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে এই বাজারে নিয়ে আসার কার্যকর উদ্যোগ জরুরি। 

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারে অবদান বাড়াতে এই বাজার থেকে ভাল ও সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোকে অর্থের যোগান দিতে হবে। এসব কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, রপ্তানি বাড়বে, তৈরি পণ্যের আমদানি কমবে এবং সরকারের কোষাগারে বাড়তি রাজস্ব দিতে পারবে।  

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের মধ্যেও ভুল ধারণা আছে। অনেকেই এই বাজারের গুরুত্ব উপলব্ধিতে সক্ষম নন। তাদের ভুল ধারণার অবসান ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সিএমজেএফের সদস্যরা আন্তরিকভাবে কাজ করবে।

সিএমজেএফের সদ্য বিদায়ী সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের জন্য তথ্যের অবাধ প্রবাহ খুবই জরুরি।

এমআই/আইএসএইচ