কারসাজি রোধে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিং অর্থাৎ নিলামে অংশগ্রহণকারী যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন নীতিমালা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিনিয়োগকারীরা যাতে সঠিকভাবে কাট-অফ প্রাইস বা মূল্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখেন সে লক্ষ্যে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে এক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে জারি করা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়, বিডিংয়ে অংশগ্রহণের আগে যোগ্য বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে ২ সদস্যের দর প্রস্তাবকারী কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিকে কোম্পানির নিট অ্যাসেট ভ্যালু পদ্ধতি, ইল্ড পদ্ধতি ও ফেয়ার ভ্যালু পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে জ্ঞানী, দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ হবে।

ওই কমিটি শেয়ার মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ শেষে বিডিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে। তারা বিডিংয়ের জন্য শেয়ারের পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করে দেবে।

প্রস্তাবিত দরের মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিলাম শেষ হওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিবে। এরপরে স্টক এক্সচেঞ্জ নিলামের তথ্য ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসিকে জমা দেবে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের দর মূল্যায়নে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য পেলে তা কমিশনকে জানানোর কথা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

কমিটির সুপারিশের আলোকে যোগ্য বিনিয়োগকারী বিডিংয়ে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন বা স্টক এক্সচেঞ্জের তদন্তের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর এই সিদ্ধান্ত ও কমিটির প্রক্রিয়া সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া বিডিংয়ের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী ও কমিটিকে ডিউ ডিলিজেন্স চর্চা ও পেশাগত মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে।

বিডিংয়ের দর নির্ধারণে বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কোম্পানির আর্থিক, প্রযুক্তিগত, ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, মালিকানা ও সুশাসনকে বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোনো ধরনের প্রভাব বা চাপে না পড়ে সততার সঙ্গে বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কোনোভাবে ইস্যুয়ার কোম্পানি, ইস্যু ম্যানেজার ও অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এমআই/এইচকে