মাউশির মহাপরিচালক মো. গোলাম ফারুক: ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে টিকা নেন তিনি।

টিকা নেওয়ার পর তিনি বলেন, ভালো আছি। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। করোনার শুরু থেকেই আমাকে নানা কারণে বাসা থেকে বের হতে হয়েছে। টিকা আমার জন্য জরুরি বিধায় নিয়েছি। অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা পাবেন।

সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের টিকা নিতে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর দ্রুত তারাও টিকা পেয়ে যাবেন বলে জানান মাউশি মহাপরিচালক।

সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বলেন, করোনা পরিস্থিতি একটু উন্নতির দিকে। আশা করছি, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হবে।

সারাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড নামক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এর আগে, ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন প্রথম টিকা নেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। প্রথম দফায় কয়েকজন ফ্রন্টলাইনারকেও পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়।

এনএম/এসএসএইচ