প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এমন এক নতুন শিক্ষার বীজ বপনের কাজে হাত দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিস্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, গবেষণা ও ভাবনার শক্তিকে জাগাবে ও কাজে লাগাবে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের করণীয় শীর্ষক’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (ভার্চুয়াল) এ কথা বলেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, পরিচালক হামিদুল হক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, শিক্ষককেন্দ্রিক ব্যবস্থা থেকে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষায় উত্তরণে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। এর ফলে বয়সোচিত যোগ্যতা এবং সরাসরি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিশু তার জানার পরিধি বাড়াবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ নেবে, তা মোকাবিলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে। তাই আমরা বলতে পারি, শিক্ষার শক্তিই পৃথিবীর অপার সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে।

কর্মশালায় ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবে শিক্ষায় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের করণীয়, প্রস্তুতি’ বিষয়ে চারটি ক্ষেত্রে (কনটেন্ট ও শিখন-শেখানো কার্যক্রম, শিক্ষক সক্ষমতা উন্নয়ন, মূল্যায়ন এবং অবকাঠামো) ৪ টি দলের দলীয় কাজ উপস্থাপন করা হয়।

এএজে/আইএসএইচ