প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে দ্রুত নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ।

শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠনটি এ দাবি জানায়। সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের ফলে এক হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। তাই আমরা হতাশ ও অসন্তুষ্ট হয়েছি।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন এখনো অবহেলিত ও অনগ্রসর জানিয়ে বক্তারা বলেন, তাদের কোটার প্রয়োজনীয়তা এখনও ফুরিয়ে যায়নি। ভৌগোলিক অবস্থান, ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি এবং দারিদ্র্যের কারণে তারা সহজে সমান প্রতিযোগিতায় উঠে আসতে পারে না। 

তারা বলেন, এ রাষ্ট্রে সবার জন্য সমান সুযোগের জায়গা যেহেতু এখনো তৈরি হয়নি, তাই এখনই কোটা বাতিল যৌক্তিক হবে না। আমরা মনে করি, অনগ্রসর ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য কোটা আরও কয়েক বছর পুনর্বহাল রাখা উচিত।

সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সরকারি তিতুমীর কলেজের আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মনীষা ম্রং। আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি অনন্ত ধামাইয়ের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অং শৈসিং, গারো ছাত্র সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ডন জেত্রা প্রমুখ।

এর আগে, শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগ এসে শেষ হয়। 

এএজে/আরএইচ